হে কিশোরি তুমি করছ কি! পা যে তোমার রক্তে লাল, চটি কেন পড়নি.....
"ক্ষুধার জ্বালা"
নাসরিন সুলতানা নাজমা
কোনো এক ভোরবেলা,
আমি গিয়েছিলাম বকুল তলা
দেখিলাম স্ব-চক্ষে
এক জীর্ণ কিশোরি।
পরনে তার ছেড়া জামা,
হাতে ফুলের ঝুড়ি।
খালি পায়ে কাটাকে মুগ্ধ করিছে সে
দিয়ে তার পাদ দুলি।
শুধালাম তারে,
ও হে কিশোরি তুমি করছ কি!
পা যে তোমার রক্তে লাল,
চটি কেন পড়নি!?
খিলখিলিয়ে হাসিল সে,
চটি? কি তাহা, কখনো তো দেখিনি।
তবে তুমি এ নিরজলায় কি খোঁজিছো শুনি?
কহিল সে রুক্ষ কন্ঠ মা কে খুজিঁ।
এখানে তোমার মাতা কোথা আছে শুনি?
মুখে যেন দেখিতে পেলাম করুনার এক হাসি।
যেন কহিল সে রুকন হাসি
আমিতো মাকে পেয়েছি।
কোন এক ভোর বেলা
আমি গিয়েছিলাম বকুল তলা,
দেখেছি সেখানে,
সৌঁহিনি থোকাইয়েছে ফুল গাঁথিছে মালা।
আমি শোধালাম তারে,
কোথায় তোমার মাতা,
এখনো কি পাওনি তারে!?
কহিল সে হেসে, পেয়েছি।
আনন্দে কহিলাম আমি,
কোথায় আছে তোমার মাতা?
দেখি আমায় দেখাও দেখি।
হাতের ঝুড়ি উপর করিয়া কহিল সে
এই যে, এ মালা আমার মাতা।
ও হে,এ যে গাছের ফুল।
পাগল হলে কি তুমি?
কহিল সে হেসে পাগল আমি নহে।
যে আময় ভালবাসে,
যে বুজে আমার ক্ষিধার জ্বালা,
সে কি আমার মাতা নহে !?
বুঝেছি আমি,
এমালা তার শখে গাথাঁ নহে
এ মালার প্রতি গাঁথুনি জোরে রয়েছে ক্ষুধার জ্বালা।
বাবাকে সে দেখেনি কবো
হারিয়েছে সেই ছোট্ট বেলা।
মা,করে দিয়েছে পর
খোঁজে নিয়েছে জীবনের বেলা।
কোনো এক ভোরবেলা,
সৌঁহিনি খুঁজিছে ফুল গাঁথিছে মালা
কাছ গিয়ে তারে শুধালাম আমি।
অ হে ফুলের রানি,
ফুলের গন্ধে কখনো হারিয়েছ কি?
চাহিল সে আখিঁ মেলি
এ যেন করুনার বানী,
"যে ফুলে জীবন খুঁজি
তার কি শোভা বুঝি"।
নাসরিন সুলতানা নাজমা
কোনো এক ভোরবেলা,
আমি গিয়েছিলাম বকুল তলা
দেখিলাম স্ব-চক্ষে
এক জীর্ণ কিশোরি।
পরনে তার ছেড়া জামা,
হাতে ফুলের ঝুড়ি।
খালি পায়ে কাটাকে মুগ্ধ করিছে সে
দিয়ে তার পাদ দুলি।
শুধালাম তারে,
ও হে কিশোরি তুমি করছ কি!
পা যে তোমার রক্তে লাল,
চটি কেন পড়নি!?
খিলখিলিয়ে হাসিল সে,
চটি? কি তাহা, কখনো তো দেখিনি।
তবে তুমি এ নিরজলায় কি খোঁজিছো শুনি?
কহিল সে রুক্ষ কন্ঠ মা কে খুজিঁ।
এখানে তোমার মাতা কোথা আছে শুনি?
মুখে যেন দেখিতে পেলাম করুনার এক হাসি।
যেন কহিল সে রুকন হাসি
আমিতো মাকে পেয়েছি।
কোন এক ভোর বেলা
আমি গিয়েছিলাম বকুল তলা,
দেখেছি সেখানে,
সৌঁহিনি থোকাইয়েছে ফুল গাঁথিছে মালা।
আমি শোধালাম তারে,
কোথায় তোমার মাতা,
এখনো কি পাওনি তারে!?
কহিল সে হেসে, পেয়েছি।
আনন্দে কহিলাম আমি,
কোথায় আছে তোমার মাতা?
দেখি আমায় দেখাও দেখি।
হাতের ঝুড়ি উপর করিয়া কহিল সে
এই যে, এ মালা আমার মাতা।
ও হে,এ যে গাছের ফুল।
পাগল হলে কি তুমি?
কহিল সে হেসে পাগল আমি নহে।
যে আময় ভালবাসে,
যে বুজে আমার ক্ষিধার জ্বালা,
সে কি আমার মাতা নহে !?
বুঝেছি আমি,
এমালা তার শখে গাথাঁ নহে
এ মালার প্রতি গাঁথুনি জোরে রয়েছে ক্ষুধার জ্বালা।
বাবাকে সে দেখেনি কবো
হারিয়েছে সেই ছোট্ট বেলা।
মা,করে দিয়েছে পর
খোঁজে নিয়েছে জীবনের বেলা।
কোনো এক ভোরবেলা,
সৌঁহিনি খুঁজিছে ফুল গাঁথিছে মালা
কাছ গিয়ে তারে শুধালাম আমি।
অ হে ফুলের রানি,
ফুলের গন্ধে কখনো হারিয়েছ কি?
চাহিল সে আখিঁ মেলি
এ যেন করুনার বানী,
"যে ফুলে জীবন খুঁজি
তার কি শোভা বুঝি"।
নতুন নতুন কবিতা পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
ReplyDeletewww.valobasargolpo2.xyz